আনোয়ারুল ইসলাম অপুর্ব, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
বর্তমানে গ্রাম-বাংলায় জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন ফসল ফলানোর জন্য। এবং খুব অল্প সময়ে কম খরচে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে, ফসল ফলানোর জন্য জমিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নানা ধরনের কীটনাশক। খাদ্য সংকট আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে,সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে বর্তমানে একেবারেই বিলুপ্তির পথে কানী বক গুলো। এই বিষয়ে অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃসাহার আলী জানানঃদিনের-দিন আমাদের গ্রাম-গণ্জে বেড়েই চলছে খাল বিল নদী নালা ভাগাড় ও জলাশয় ভরাট, এমনকী বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে আজ বিলুপ্তির পথে কানী বক। একটি সূত্রে জানা যায়ঃবাদামী পিঠের মাঝারি আকারের সাদা ডানা ওয়ালা জলচর পাখি কানী বক। গড়ে এদের ওজন স্বাভাবিক ভাবে ২০০-২৫০গ্রাম পর্যন্ত প্রায় হয়ে থাকে। এদের মাথা হলদে পিতাভ রঙ্গ ধরন করে থাকে এরা প্রজনন ঋতুতে। সাধারণত বেশীর ভাগেই এরা বিভিন্ন হাওর বাওর ডুবা নদী নালা ভাগাড় খাল বিল পুকুর জলাশয় কিংবা ধানক্ষেতেও বিচরণ করে থাকে। এই বক গুলো মাত্র ২-৫টি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ে।এবং ২৪দিনের ভিতরে আবার সেই ডিম থেকে ছানা বের হয়।সাদা ডানাওয়ালা কানী বকের দৈর্ঘ্য ৪৬সেঃমিঃ ডানা ২১.৫সেঃমিঃ এবং ৬.২সেঃমিঃএবং লেজ ৭.৮সেঃমিঃপর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের ঘাড়ে হলদে পিতাভরঙ্গের লম্বা-লম্বা দাগ থাকে। দেহের পিছনে বাকি অংশটা সাদা হয়ে থাকে। এদের নিচের ঠোঁট হলুদ আর উপরের ঠোঁটের আগা গুলো কাল বর্ণের হয়ে থাকে। এদের ঠোঁট গুলো বেশ লম্বা এবং খুবই ধারালো,বৃত্ত হলুদের মতো। এমনকি এদের পা”ও”পায়ের পাতা হলদে সবুজ রঙ্গের দেখতে বেশ অনুজ্জ্বল। চোখ গুলো এদের সবসময়েই কাল বৃত্তের মত।এই বক গুলোর দেহ অসংখ্য ঝালকের মত পালক দিয়ে সাজানো থাকে। কানী বক সাধারণত এদের প্রজনন ঋতু জানুয়ারী বা,আগষ্টেই হয়েথাকে।এই বক গুলো স্ত্রী -পুরুষ দু”জনই মিলে বাসা বানিয়ে থাকে,গাছের সরু ডাল,কঞ্চী পালক ও ইত্যাদি দিয়ে। এদের বাসা দেখতে বেশ পাতি কাকের বাসার মত হয়ে থাকে। তবে এদের বাসার গভীরতা খুবই কম।