কলকাতা প্রতিনিধিঃ দেবাশীষ রায় রজার ফেডেরার নামটা শুনলেই ভেসে ওঠে একজন দীর্ঘদেহী স্থিতধী স্মিত হাসিমুখের সুপুরুষের কথা। অবশ্য প্রথমে কি এমনটাই ছিলেন রজার ? বরং ঠিকমতো শট না মারতে পারলেই ব়্যাকেট ভেঙ্গে ফেলা ছিল তার নৈমিত্তিক ব্যাপার । এমনি বদমেজাজি তো ছিল ম্যাকেনরো ও এমনকি বর্তমানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রাফায়েল নাদাল ও । কিন্তু তিনি তাদের সবার থেকে ছিলেন আলাদা । কারণ মহান চরিত্রের অধিকারী তিনিই, যিনি নিজের ভুলটা নিজেই ধরতে পারেন আবার সেটা শুধরে ও নিতে জানেন । বেশ কিছুদিন ধরেই হাঁটুর চোটে ভুগছিলেন রজার। একটু মেরামত করে ফিরছিলেন কোর্টে, তার সেই অনবদ্য রাজকীয় ফোরহ্যান্ডের জাদু দেখাবার জন্যই । কিন্তু স্থির থাকতে পারছিলেন না। এই আছেন আবার এই নেই। একটা সেট জিতে হাসিমুখে টাওয়েল দিয়ে ঘাম মুছে ফিরলেন পরের সেটে । কিন্তু রজার সুলভ জয়ীর মুকুট পরতে নয়, হারের বিষাদে ডুবে যেতে । টেনিসের পরিসংখ্যান বলছে প্রথম নাদাল, তারপর জোকোভিচ আর তৃতীয় ফেডেরার । কিন্তু লক্ষ লক্ষ টেনিস অনুরাগীর ভোটে শ্রেষ্ঠ একমাত্র রজার ফেডেরার। এক সময় একটার পর একটা ট্রফি আর গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিজেদেরকে কিংবদন্তির পর্যায়ে উন্নীত করেছিলেন রড লেভার, যার নামে একটা আস্ত ক্রিকেট এরিনা আছে আজকের দুনিয়ায়। সেই লেভার কে ম্লান করে দিয়ে উঠে এসেছিলেন বিয়র্ন বর্গ । তার ও পরে আর একজন সুদর্শন রয় এমার্সন । ঠিক ফেডেরারের মতোই বিশ্বকে স্তম্ভিত করে দিয়ে অবসর ঘোষণা করেন মাত্রই ২৬ বছর বয়সে। কিনে ফেলেন একটা আস্ত দ্বীপ । তিনিই হন সেখানকার রাজা । তার কথাই সেখানকার আইন কানুন । কিন্তু হেরে যান বাস্তব জীবনের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে না পেরে। আশা করব ফেডেরারের অবসর জীবন সুখের হবে। কোর্টে না হলেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার অম্লান হাসি মুখকে ঘিরে ঝলকে উঠবে ফ্ল্যাশ বালবের আলো বার বার, অজস্র বার ।