যারা এবার প্রথমবারের মতো আবাই নির্বাচনে যুক্ত হয়েছেন , আমি তাদেরকে জানাতে চাই । আর যারা ২০১১ সালের আবাই নির্বাচনে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই । অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার আবাই নির্বাচন ২০২২ এর ফলাফল নিয়ে পরাজিত প্রার্থী জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান যে নাটকের অবতারণা করেছেন সেটা নতুন কিছু না। ২০১১ সালে নির্বাচনের পর এই নাটক করেছিলেন । যা হয়েছিলোঃ সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান ও জাকির সাহেবদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো – ফলাফল যাই হোক মেনে নিবো । কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে তাদের প্রার্থী পরাজিত হলে কথা পাল্টে যায় । সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব হাতে লেখা রিট পিটিশন করেন। ১১ই অক্টোবর ২০১১ তারিখের নির্বাচনে ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে আমাকে ( প্রধান নির্বাচন কমিশনার ) ও সকল নির্বাচন কমিশনারকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয় । বহু দেন দরবার , মিটিং করার পর কিলকিনি শহরে সাইদুর রহমানের বাসায় পাঁচ ঘন্টার মিটিংয়ে সভায় ,সবার সম্মতি হয়। নতুন কমিটিকে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১২ সালের ৩রা জানুয়ারি । অতএব , কেউ চিন্তিত হবেন না। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ঠাবান কাজ নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই । ফেসবুক লাইভের কল্যাণে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। জনগণের রায় মেনে নিয়ে জনাব সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব রেডকাউ হোটেলে নিজে মুখে নিজের পরাজয় মেনে নিয়েছেন। তাঁর সেই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে । আজ তাঁর ইতিহাস তিনি পূণরাবৃত্তি করলেন। এই হীন কর্মের জন্য আয়ারল্যান্ড প্রবাসীদের মাঝে তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে, যারা তাকে ভোট দিয়েছে তাঁরাও রাগে দুখে মাথা চাপড়াবে। সৈয়দ মোস্তাফিজ রহমান সাহেব পরাজিত হওয়ার মেইন কারণ হচ্ছে ,কাজী কবির, সৌরয়ার ফারুক সাহেব ও কতিপয় সমর্থকের প্রতিহিংসামূলক প্রচারণা । কারন এতে করে মানুষের সেনসেটিভিটিতে আঘাত এনেছে। জনগণ বোকা নয়, তাদের কখনো আন্ডারএস্টিমেট করতে নেই। নিজেদের দোষে হেরে নির্বাচন কমিশণকে দোষারোপ করলে সেটা হবে আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায় । লেখক পরিচিতঃ ইকবাল আহাম্মদ লিটন সদস্য সচিব আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ ও উপদেষ্টা সম্পাদক অভিযোগ বার্তা।