আলী আজগর :
নেত্রকোনা মদন উপজেলার ১ নং কাইটাইল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পুতুল মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নেত্রকোনা কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন রাবেয়া আক্তার (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননী।
ইউপি সদস্য পুতুল মিয়া বাঁশরী দুর্গাশ্রম গ্রামের মৃত শহর আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কাইটাইল ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি সদস্য পুতুল মিয়া এবং রাবেয়া আক্তার কিশোর-কিশোরী থাকা অবস্থায় তাদের দুজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ।
দুজনের পরিবার বিষয়টি মেনে না নেওয়ার কারণে দুজনেই অন্যত্র বিবাহ করেন।
পরবর্তীতে রাবেয়া আক্তার একই গ্রামে পিত্রালয়ে স্বামী মোঃ টেনু মিয়াকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
পূর্বের প্রেমের সম্পর্কের অধিকারে বিভিন্ন সময় কু প্রস্তাব দিতো পুতুল মিয়া রাবেয়াকে এবং জুড়ে ধরে ধর্ষন করার চেষ্টা করতো পুতুল মিয়া।
এমন ঘটনায় হঠাৎ স্বামী দেখে ফেলায় রাবেয়া আক্তার কে তালাক দিয়ে চলে যান প্রথম স্বামী টেনু মিয়া।
পরে কৌশলে রাবেয়া আক্তার কে বিবাহ
করার কথা বলে, গত ২৭ জুন ২০২০ ইং তারিখে বর্তমান ইউপি সদস্য পুতুল মিয়া তারই চাচাতো ভাই নুর মিয়ার ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে বিবাহের কথা বলে একাধিকবার ধর্ষণ করে তাকে।
গত ২৪ মে ২০২২ ইং রোজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে রাবেয়া আক্তার ও পুতুল মিয়াকে অনৈতিক কাজে হাতেনাতে ধরে এলাকার শাহিনুর, নুরুল হক, সাবেক মেম্বার হাবুল, মজিবর, নুর আলম, আরো অনেকেই।
এ ঘটনার পর স্ত্রীর অধিকার পাওয়ার জন্য ইউপি সদস্য পুতুল মিয়ার ঘরে অনশন করেন রাবেয়া আক্তার।
স্ত্রীর অধিকার না দেওয়ার কারণে রাবেয়া আক্তার নিজেই বাদী হয়ে নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে পুতুল মিয়ার বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে, ইউপি সদস্য পুতুল মিয়া জানান, আমি রাবিয়া আক্তার কে কাবিন করে বিবাহ করেছি আমার কাছে কাবিন নামা আছে।