আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। দেশে এবং প্রবাসে সকলকে জানাই পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ সকলের জীবনে নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ এবং সমৃদ্ধি। পৃথিবীর সকল যুদ্ধ থেমে যাক, মানবতার মুক্তির মিসিলে সামিল হোক শান্তি প্রিয় সকল মানুষ। ঈদের আতরের গন্ধ মাখা বাতাস ভাসিয়ে নিয়ে যাক সকল গ্লানী, দুঃখ-কষ্ট।
সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা
ঈদ-উল-আযহা মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধানতম ধর্মীয় উৎসব। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আজ থেকে হাজার হাজার বছর পূর্বে ইসলামের আদি পিতা হযরত ইব্রাহিম (আঃ) প্রদর্শিত কোরবানির দীক্ষায় দিক্ষিত হয়ে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কোরবানির ঈদ মুসলিম সমাজের ত্যাগের উৎসব। ভোগে নয়, ত্যাগেই শান্তি এমনই শিক্ষা পাওয়া যায় এই ঈদ থেকে কোরবানি শব্দটি আরবি কোরবানুন অথবা কেরবানুন শব্দ থেকে আগত, যার মানে নৈকট্য বা সান্নিধ্য লাভ করা। প্রায় চার হাজার বছর আগে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলে ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার মহিমায় ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি ভেড়া বা দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। সেই ত্যাগের মহিমায় মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ প্রাপ্তির আশায় পশু কোরবানি করে থাকে। তবে ঈদের পরও ৩ দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজ্ব পশু কোরবানি করার ধর্মীয় বিধান রয়েছে।
কোরবানি পশু বর্জ্য নিষ্কাশনে আমাদের সকলের যা কতব্য
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান এই দিনে পশু কোরবানি করে থাকেন। বিপুল সংখ্যক পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনে অব্যবস্থাপনা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বয়ে আনতে পারে। রোগ জীবাণু ছড়িয়ে স্রান করে দিতে পারে ঈদের আনন্দ। একটু সচেতনতাই পারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে। কোরবানির পশুর বর্জ্য নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে পরিবেশের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। সমাজে সকলে মিলে একটু খেয়াল আর সচেতনতাই পারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করতে। কোরবানির পর পশুর রক্ত, জবাইকৃত বজ্য ও তরল বর্জ্য খোলা স্থানে রাখা যাবে না। এগুলো গর্তের ভেতরে পুঁতে মাটি চাপা দিতে হবে। কারণ রক্ত আর নাড়ি-ভুঁড়ি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর যদি রক্ত মাটি থেকে সরানো সম্ভব না হয়, তা হলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কোরবানির বর্জ্য পলিথিনে করে রেখে দিতে হবে, যাতে ময়লা পরিবহন দ্রু সঙ্গে করা যায়। কাজের ক্ষেত্রে অপরের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যে সব এলাকায় গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয় বা দেরি হবে, সে সব স্থানে বর্জ্য পলিথিনের ব্যাগে ভরে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে। পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্যগুলো ও পলিথিনে দিয়ে দেয়া ভালো। নাড়ি-ভুঁড়ি বা এ জাতীয় বর্জ্য কোনো ভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা যাবে না। মানুষের সচেতনতার পাশাপাশি সকলের উদ্যোগ থাকলে রোগজীবাণু, দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়াতে পারবে না।
ঈদ-উল-আযহা এই পবিত্র দিনটি সবার জন্য অনাবিল আনন্দ বয়ে আনুক সেই কামনায়-
ইকবাল আহমেদ লিটন- সদস্য সচিব, আহবায়ক কমিটি- আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ।