ইকবাল আহমেদ লিটন:
সবুজ অভয়ারণ্য, সুজলা-সুফলা, অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। এ দেশে রয়েছে বহু প্রাকৃতিক সম্পদ। সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে মানবসম্পদ। বাংলাদেশে প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে, আমরা সবাই অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত গর্বীত আমরা বাঙালি। দেশের বাইরে ও ভেতরের শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে বহুবার এবং আজও বিভিন্নভাবে চলছে। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশের ছাত্র-জনতা মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার আদায় করেছে। পৃথিবীর কোথাও এমনভাবে ভাষার জন্য আন্দোলন করতে হয়নি। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ও নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অর্জন করে স্বাধীনতা। পৃথিবীর মানচিত্রে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে সক্ষম হই আমরা।
যাত্রা শুরু হয় সোনার বাংলার। উন্নয়ন ঠিকই হয়েছে কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিক্রম করার পরও সোনার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হয়নি। চারদিকে সন্ত্রাসের রাজত্ব, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির মহোৎসব, যুবসমাজ আজ নানামুখী ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি এবং হুমকির সম্মুখীনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে আদরের কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা, এসকল অনৈতিক, অশুভশক্তির বিরুদ্ধে একায় লড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার মনের মতো করে কি এই সোনার বাংলা গড়ে চলেছেন তার অনুসারিরা? নাকি তাকে সত্যিটা গোপন রেখে মিথ্যাটা শুনিয়ে সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম, অনৈতিকতা করে যাচ্ছেন? সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা, ভরা অপরূপ মায়াবী নজরকাড়া এ দেশ বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। হাজারো ত্যাগ- তিতিক্ষা আর সমস্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার এতটা বছরেও প্রকৃত স্বাধীনতাকে আমরা খুঁজে পাইনি। সে যেন হারিয়ে গেছে বহু দূরে। যেমন চেয়েছিলাম এই সবুজ ভূখণ্ডকে তেমনটি পাইনি। আমি চাই, আগামীর বাংলাদেশ হবে সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, যেখানে রয়েছে অপার সম্ভাবনা লুকায়িত। এ দেশের প্রতিটি মানুষ হবে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক। আমি চাই, এ দেশে থাকবে না হিংসা-বিদ্বেষ, থাকবে না সামাজিক কোন্দল, ধর্ষণ, চুরি- ডাকাতি, লুটতরাজ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি।
এসব থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি চায়। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে থাকবে না কলহ-মারামারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হবে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সোনার মানুষ তৈরির কারখানা। দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন যোগ্যতার মাপকাঠিতে মূল্যায়ন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ, দেশের ১৮ কোটি জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরিত করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হবে। আসুন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সাহায্য করি আর সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে পৃথিবীর মানচিত্রে একটি সুখী- সমৃদ্ধশালী ও আদর্শিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট হই।
লেখক পরিচিতিঃ
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সদস্য সচিব আয়ারল্যান্ড আওয়ামী লীগ,উপদেষ্টা সম্পাদক অভিযোগ বার্তা.কম,প্রধান উপদেষ্টা বার্তা২৪টিভি।