ইয়াছিন আলী খান দোয়ারা বাজার সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।
বলছিলাম এতক্ষণ যার কথা সে আর কেউ নয়,
অসহায় গরিব হতদরিদ্র অন্ধপ্রতিবন্ধী মাজুর এতিম অর্থহীন ব্যক্তি হাঃ কাঃ সিরাজুল ইসলাম।
অর্থের অভাবে স্ত্রী সন্তান কে রেখেছে দূরে, থাকতে হয় একাকী অভাবে অনাহারে।
তার নেই দুটি চোখ,নেই কোন ইনকাম সুইস, নেই প্রভাবশালী বৃত্তবান কোন আত্নীয় স্বজন, একজন অন্ধ প্রতিবন্ধী সে, টাকা পয়সা রুজিরোজগার করার নেই ক্ষমতা।
সে পায়নি কোন সরকারি অনুদান, দেয় নি কেউ সামান্য একটু সাহায্য,সহযোগিতা।
কষ্ট করে চলছে তার দিন রাত, শ্রম পরিশ্রম করেও চলছে না তার সংসার।
পিছু ছাড়ছে না অভাব, দারিদ্র্যসীমার নিচে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় ল বাস করছে হাফিজ সিরাজ।
সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার বাংলা বাজার ইউনিয়নের বাশতলা কলোনি গ্রামের বাসিন্দা হাঃ কাঃ সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি খুব দুঃখে কষ্টে চক্ষুহীন বস্ত্রহীন চিকিৎসাহীন অবহেলিত জীর্ণশীর্ণ জীবন যাপন করছে, অভাবে-অনটনে অনাহারে দিন কাল করছে পার। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে অতিবাহিত করে আসছে সে।
কোন দিন কখনো সামান্য কিছু খেতে পায়,আবার কখনো কখনও না খেয়ে খুদাপেটে ঘুমাতে যায়।
একবেলা খেতে পারলে দু’বেলা থাকতে হয় উপোস।
দু’বেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারে না সে শান্তিতে স্ত্রী সন্তান কে সঙ্গে নিয়ে।
দারিদ্র্যতা যেন পিছু ছাড়ছে না অন্ধ প্রতিবন্ধী কারি হাঃ সিরাজের,
সিরাজুল ইসলামের বেহাল অবস্থা কেউ নাই তাকে দেখার, কেউ নেই তাকে সাহায্য সহযোগিতা করার। তারপরও থেমে নেই তার ইবাদত বন্দেগী করার, দিনে রাতে কাজ করেই যাচ্ছে দিনের জন্য ইসলামের জন্য।
নিয়মিত নামাজ পড়ছে জিকির ও দুআ করেই যাচ্ছে। বর্তমানে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে, তার পরিবারে আছে স্ত্রী সন্তান ও তার মা,এই ছোট সংসার নিয়ে রীতিমত হিমসিম খেতে হয় সিরাজের ।
হাফেজ সিরাজ নিজেই বলেন, আমি শুধু কাওমী মাদ্রাসায় পড়েছি বিদায় সচারাচর সবার কাছে হাত পাত্তে পারি না। কোথাও কারো কাছে যেতে পারি না। আমার দুটি চোখ না থাকায় আজ আমি খুব অভাবে অনাহারে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় আছি। জন্মের পর থেকেই দেখতে পাইনি সূর্যের আলো, রঙিন দুনিয়া। জানিনা কখন রাত হয় কখন দিন হয় কিছুই উপলব্ধি করতে পারিনা। ছোট বেলা শিশু কালে মারা যান আমার বাবা, মা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করে, হাস মুরগী বিক্রি করে আমাদের কে লালিত পালিত করেন। এখন আমি বড় হয়েছি কিন্তু ঠিকই ধরতে পারি নাই সংসারের হাল, রীতিমতো হচ্ছি হয়রানি খাচ্ছি হিমসিম।
অবশেষে তিনি বলেন, দেশের সকল বড়লোক বৃত্তবান মানুষের কাছে আমার আকুল আবেদন থাকবে যদি কেউ পারেন একটু সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন।
তিনি পরে তার বিকাশ নাম্বার টা দিয়ে দেন,০১৭২৮৩০৫২০৮, এটা আমার ব্যক্তিগত নাম্বার।