অপরাধ ঢাকতে উল্টা সাজানো মিথ্য মামলা দায়ের করেছে অপরাধী গংয়ের সদস্য মো. আব্দুল মুন্নাফ। গত ২৮/০৩/২০২২ইং তারিখ সোমবার রাজবাড়ীর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উদ্দেশ্য প্রনিতভাবে সাংবাদিকসহ ৪ জনের নামে হুমকি-ধামকি প্রদানের এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং মিস.পি ২৯০/২২। ধারাঃ ১০৭/১১৪/১১৭(গ)। ধার্য্য তারিখ ২৪/৫/২০২২ইং। আর এই, মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয় বাদীর একই গ্রামের প্রতিবেশি- রাজবাড়ী ডিজিটাল প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং জনতার মেইল ডটকমের সম্পাদক ও দৈনিক বর্তমান কথা’র জেলা প্রতিনিধি এস.এম রিয়াজুল করিম, সাবেক ইউপি সদস্য মো. কামাল সরদার, মো. দবির মন্ডল, ও মো. মজিবর শিকদারকে। মামলার আরজিতে প্রকাশ, তাদের (বিবাদীর) বিরুদ্ধে বাদীর পিতার নামীয় সম্পতি জবর-দখল, গাছ কর্তন ও জোড় করে বেড়া দিতে যাওয়া এবং হত্যার হুমকির অভিযোগ আনা হয়েছে। যাহা সম্পূর্ন সাজানো ও মিথ্যা। এ মামলার ঘটনাসূত্রে অনুসন্ধানে জানাযায়, পেশাগত কর্মের সুবিধার্থে সাংবাদিক রিয়াজুল করিম রাজবাড়ী পৌরসভাধীন লক্ষ্মীকোল গ্রামের বসত বাড়ি ছেড়ে তার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাজবাড়ীর আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়নপুর গ্রামে ভাড়া বাড়িতে প্রায় ১১ মাস যাবৎ বসবাস করে আসছে।বসত বাড়ি করার জন্য ১০৭ ধারার মামলার বাদীর বাড়ির পাশে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে সাংবাদিক রিয়াজুল করিম। মূলত ওই জমি ক্রয়কে কেন্দ্র করেই মামলার বাদীর পরিবারের লোকজনের চোখে রিয়াজুল করিম শত্রুতে পরিনত হয়। জমি ক্রয়ের পর রিয়াজুল করিম তার ক্রয়কৃত জমি হতে বিবাদীদের বেড়া সরিয়ে নেওয়ার ও সিমানায় থাকা গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার কথা এবং জমি মাপার কথা বলে। এতেই মামলার বাদী আব্দুল মুন্নাফের পরিবারের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এর ৩/৪ দিন পরে গত ১৪/০৩/২০২২ ইং তারিখে মামলার বাদীর পরিবারের লোক সবাই মিলে জোটবদ্ধ হয়ে লাঠি-সোঠাসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে করতে সাংবাদীক রিয়াজুল করিমের বসত (ভাড়া) বাড়ির সামনে যেয়ে তাকে মারপিটের করার জন্য ঘর হতে বেড় হতে বলে ও ঔদ্বত্যপূর্ন আচরন করে। এ ঘটনায়, ওই দিনই সাংবাদিক রিয়াজুল করিম বাদী হয়ে- মোঃ সালাম সেখ, মামলার বাদী মোঃ মুন্নাফ সেখ ও মোঃ আনিছ সেখের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩/০৩/২০২২ ইং তারিখে (বাদী-বিবাদীর জমি মাপ-জোখের পরমূহুর্তে) রাজবাড়ী থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ কারুজ্জামান সিকদার ১০৭ ধারার মামলার বাদী মোঃ মুন্নাফ সেখ গংদের বলেন- সামাজিকভাবে বসে অভিযোগকারী রিয়াজুল করিমের সাথে আগামী ৩ দিনের মধ্যে মিমাংশা করে নিবেন, অন্যথায় আইনগত ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব। এরপর মিমাংশ তো দুরের কথা আসামীদের একজন (মুন্নাফ) বাদী হয়ে উল্টো অভিযোগকারী রিয়াজুল করিম সহ গ্রামের আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় মামলা করেছে আদালতে। সেইসাথে রিয়াজুল করিমের ক্রয়কৃত জমির পশ্চিম পাশের সিমানা অতিক্রমম করে ২ ফুট জায়গা দখল করে বেড়া দিয়েছে। মূলত নিজেদের অপরাধ ঢাকতে ও অন্যায়কে টিকিয়ে রাখতে ১০৭ ধারায় মমমলা দিয়ে আইনকে ঢাল স্বরুপ ব্যাবহার করেছে মুন্নাফ গং। উল্লেখিত মামলায় বর্নিত বিষয়টি সম্পূর্ন উল্টো ও ষড়যন্ত্রমূলক। ঘটনা তদন্তে আরও জানাযায়, রিয়াজুল করিমের ওই জমি ক্রয়ে সহযোগীতা করে মো. দবির মন্ডল ও মো. মজিবর শিকদার এবং জমি মাপজোখের সময় ন্যায় কথা বলায় সাবেক ইউপি সদস্য কামাল শিকদারের উপরে ক্ষিপ্ত হয় বিবাদীর পরিবারের লোকজন। সে কারনে রিয়াজুল করিমসহ উক্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক-মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এ বিষয়ে, ১০৭ধারা মামলার বিবাদী সাংবাদিক রিয়াজুল করিম বলেন- গত ১৪/৩/২২ তারিখ সকালে সালাম ও মুন্নাফ সেখ গংরা জোটবদ্ধভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করাসহ আমাকে মারতে আমার বাড়ির সামনে ঔদ্বত্যপূর্ন আচরন করার জন্য একইদিনে রাজবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ করেছিলাম, পরে থানার সাবইন্সপেক্টর মোঃ কারুজ্জামান সিকদার সালাম এসে ও মুন্নাফ সেখ গংদের সামাজিকভাবে বসে আমার সাথে মিমাংসার কথা বলে, মিমাংসা না করে আসামীরা উল্টো আমারসহ আরও ৩ জন নিরিহ ব্যক্তিকে পেচিয়ে আদালতে ১০৭ ধারায় মামলা করে, আবার আমার জায়গা দখল করে বেড়া দিয়েছে, ওরা আমার সাথে অন্যায়ও করলো আবার উল্টো আমার বিরুদ্ধেই মামলা করলো। ওদের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পেতে বাধ্য হয়ে আমার ও আমার পরিবারে জীবন ও সম্পদ রক্ষার্থে- সালাম, মুন্নাফ ও আনিচ গংদের বিরুদ্ধে গত ২২/৪/২০২২ তারিখে রাজবাড়ী থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করেছি। রাজবাড়ী থানার জিডি নং- ১০৯১।